হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম থেকে
ডিটেকটিভ লাইফস্টাইল ডেস্ক
হৃদযন্ত্রের ধমনীর ভেতরের দেয়ালে জমে থাকা ক্যালসিয়ামের মাত্রা দেখে হৃদরোগের পূর্ভাবাস আন্দাজ করা যেতে পারে।
ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া-সান ফ্রান্সিসকো’র করা এক গবেষণার ফলাফল থেকে জানানো হয়, দক্ষিণএশিয়ার দেশগুলোর পুরুষদের ক্ষেত্রে এই পন্থা বেশি প্রযোজ্য এবং প্রাথমিক অবস্থাতেই চিকিৎসা শুরু করার ক্ষেত্রে এই ধারণা উপকারী ভ‚মিকা রাখবে।
গবেষকদলের মতে, দক্ষিণএশিয়ার দেশগুলোর মানুষদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি এবং বিশ্বব্যাপি হৃদরোগীদের ৬০ শতাংশই এই দেশগুলোর বাসিন্দা।
উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল এবং ডায়াবেটিস- হৃদরোগের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকিপূর্ণ সমস্যাগুলোতে এসব অঞ্চলের মানুষ অল্প বয়সেই আক্রান্ত হয়ে যায়। তবে কোন পদ্ধতিতে সবচাইতে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষদের চিহ্নিত করা সম্ভব সে সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা দিতে পারেননি গবেষকরা।
অপরদিকে দক্ষিণএশিয়ার বেশিরভাগ দেশের পুরুষদের শরীরে ক্যালসিয়াম জমে যাওয়ার আশঙ্কা একই দেশের নারীদের তুলনায় বেশি। পুরুষরা ৮.৮ শতাংশ, আর নারীরা ৩.৬ শতাংশ।
গবেষণার প্রধান লেখক, ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া-স্যান ফ্রান্সিসকো’র অধ্যাপক আলকা কানায়া বলেন, “‘করোনারি আর্টারি’ অর্থাৎ হৃৎপিণ্ডের ধমনীতে ক্যালসিয়ামের উপস্থিতি এবং এর মাত্রায় পরিবর্তন এই দেশের মানুষদের হৃদরোগের ঝুঁকি নির্ণয়ে এবং সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণে দিক নির্দেশনা প্রদানে কার্যকরী হতে পারে।”
‘জার্নাল অফ দ্য আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন (জেএএইচএ)’তে প্রকাশিত এই গবেষণার জন্য বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল এবং ভুটানের বংশদ্ভুত প্রায় ৭শ’ রোগীকে পাঁচ বছর ধরে পর্যবেক্ষণ করেন গবেষকরা।
দেখা যায়, এই অঞ্চলের পুরুষদের ‘ক্যালসিফিকেশন’ বা ধমনীতে ক্যালসিয়াম জমে যাওয়ার মাত্রা শেতাঙ্গ পুরুষদের সঙ্গে মিল রয়েছে। আর শেতাঙ্গদেরই হৃদরোগের ঝুঁকি সবচাইতে বেশি।
‘করোনারি আর্টারি ক্যালসিফিকেশন (সিএসি)’ হল হৃদযন্ত্রের ধমনীতে ক্যালসিয়াম জমে তা সরু হয়ে যাওয়া এবং ফলশ্রæতিতে হৃদরোগের সুত্রপাত হওয়া।
ধমনীতে ক্যালসিয়াম জমছে কিনা তা পরীক্ষা করা যায় সিটি স্ক্যানের মাধ্যমে।
যাদের অনিয়মিত হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভোগেন তাদেরকে দ্য আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন ‘সিএসি’ পরীক্ষা করার এবং সেই অনুযায়ী কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধ খাওয়া পরামর্শ দেয়।